শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে ২০২৫ (বাসস) : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানো শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন কারখানার মালিক হাজী ইয়াকুব।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ শিশু নাঈম হাসান নাহিদের নামে ১৫ লাখ টাকা করে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে এবং তার পড়ালেখার খরচ হিসেবে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা বহাল রেখে আদেশ দেন। একইসাথে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল বিভাগের ওই নির্দেশনার আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী নাঈম হাসান নাহিদকে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন কারখানার মালিক হাজী ইয়াকুব।
আদালতে ওই শিশুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। তাকে ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার বুঝিয়ে দেন কারখানা মালিকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, আগামী ১৩ মে এ মামলার শুনানি হবে। আশা করি ওইদিন শিশু নাঈম অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকা পাবেন। সেদিন কারখানার মালিককেও আসতে হবে।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশের পরও শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় কারখানার মালিক ইয়াকুবকে তলব করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১২ জানুয়ারি শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫ লাখ এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করে দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয় ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের আলোকে আজ ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার দিলেন কারখানা মালিক।