শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বর্তমানে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে, তত দেশের জন্য মঙ্গল হবে। বিশৃঙ্খলা থেকে দেশ রক্ষা পাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি বছরের পর বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। নেতাকর্মীরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, ফাঁসির দড়ি কাঁধে নিয়েছেন। প্রায় পৌনে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির এসব ত্যাগ একমাত্র গণতন্ত্রের জন্য।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমান ও তার পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান প্রায় দুই দশক ধরে দেশের বাইরে আছেন। তাকে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। যে অত্যাচার তার ওপর হয়েছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছে। এমনকি তারেক রহমানের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ১৬-১৭ বছর ধরে জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিল। এমন খুনি, গণহত্যাকারী, নির্যাতনকারী, লুটেরা এই বাংলাদেশে দ্বিতীয় কেউ জন্মেছে বলে আমার জানা নেই। শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে গণতন্ত্রের প্রত্যাশায়। এখনো যদি ভোটের দাবি জানাতে হয়, এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই বিএনপি ধৈর্য ধরে আছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। কারণ, বিএনপি ছাড়া দেশে তৃতীয় কোনো দল নেই যারা সুশৃঙ্খলভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া লন্ডন থেকে যখন দেশে এলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়; সারা বাংলাদেশ যেন রাস্তায় নেমে এসেছে। সারাদেশ উদগ্রীব হয়েছিল। তিনি (খালেদা জিয়া) শুধু আমাদের নেত্রী নন, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের আন্দোলনের প্রতীকে রূপান্তরিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের মাতা হিসেবেও তিনি চিহ্নিত হয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী প্রমুখ।