শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনৈতিকভাবে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-১৩ (নতুন-৬/এ), বাড়ি নং-৭১১ (নতুন-৬৩)-তে নির্মিত ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬০ শতাংশ হারে ১২টি সরকারি কোটায় এবং ৪০ শতাংশ হারে ৬টি বেসরকারি কোটায় বরাদ্দ যোগ্য ছিল। অভিযানকালে বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড-এর অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনের চেক প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশন অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের পরিচালকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে শিক্ষকরা সময়মতো পেনশন সুবিধা পাচ্ছে না বলে জানান। পরবর্তীতে অপেক্ষমাণ আবেদনের রেকর্ডপত্র যাচাইয়ে কর্মকর্তাদের দায়িত্বের অবহেলা ও শিক্ষকদের হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অধিকতর যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে লাম সাম গ্রান্টের ২৪টি প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। পিপিআর, ২০০৮ অনুসরণ না করেই এই প্রকল্পগুলো অনুমোদন করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পছন্দের ব্যক্তিকে বেশি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া, পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বোর্ড কর্তৃক জনবল নিয়োগের নীতিমালা পরিবর্তন করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এসময় টিম বিভিন্ন প্রকল্প ও অন্যান্য অভিযোগের সপক্ষে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।