বাসস
  ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৩

গাবতলী গরুর হাট ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান

গাবতলী গরুর হাট ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান। ছবি: দুদক

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): গাবতলী গরুর হাট ইজারা প্রদানে অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় রাজস্বের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং দরপত্র সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। এ সময় টিম জানতে পারে, ২০২৫ সালের হাট ইজারায় সর্বোচ্চ দর ছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা, যা সরকার নির্ধারিত দর ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। মূল্যায়ন কমিটি সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করলেও তা বাতিল করে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার যুক্তি হিসেবে সিপিটিইউ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ার কারণ দেখানো হয়। তবে হাট ইজারা সরকারি ক্রয় নীতিমালার আওতায় পড়ে না এবং এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও নেই বলে অভিযানকালে টিম বিশেষজ্ঞ মতামত পায়।

প্রাথমিক পর্যালোচনায় অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাবতলী গরুর হাট ইজারা না দিয়ে বড় অঙ্কের সরকারি আয় হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাথমিক সত্যতা প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে এ অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। 

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের কলেজ শাখায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি, অনাপত্তিপত্র, ছুটি অনুমোদন ও অন্যান্য ফাইল আটকিয়ে ঘুষ দাবি ও হয়রানি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কলেজ শাখার উপপরিচালকের বিরুদ্ধে অনলাইনে আবেদনকৃত নতুন এমপিওভুক্তির ৯২টি ফাইল আটকিয়ে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। 

এছাড়া, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অভিযোগে বর্ণিত বিষয় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং রোগী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এক্সরে বিভাগ, প্যাথলজিকাল বিভাগ, জরুরি বিভাগে দালালদের দৌরাত্ম্য আছে বলে প্রতীয়মান হয়। হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রেজিস্ট্রার হালনাগাদ না থাকা, মেন্যু অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কম থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক টিমের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে রোগীদের সেবাদান প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে হয়রানি ও দালালমুক্ত করতে পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপস্থিত সেবাগ্রহীতারা দুদক টিমের এ অভিযানকে স্বাগত জানান।