বাসস
  ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১:২৯
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৩৪

আগামী নির্বাচনকে সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত করতে হবে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির   

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ কৃতী ছাত্র সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আগের মতো কলঙ্কযুক্ত নয়, যাতে সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা কিছু করার সবকিছু আমরা করে দিয়েছি। এখন এগুলো সব নির্বাচন কমিশন ও জনসাধারণের হাতে। আপনারা নিশ্চিত করবেন, যাতে এই নির্বাচনটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হয় এবং আগের নির্বাচনগুলোর যে গ্লানি সেগুলো যাতে মুছে ফেলতে পারে।

আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতি আয়োজিত ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী ছাত্র সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সরকারি মুসলিম হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি শাহআলম বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি প্রফেসর সিকান্দার খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোরশেদুজ্জামান।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আপনারা জানেন সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা আমাদের জন্য যেনতেন নির্বাচন নয়। একটি যুগান্তকারী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এখানে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। যিনি প্রার্থী হতে চান তিনি যাতে প্রার্থী হতে পারেন। যিনি ভোট দিতে চান তিনি যাতে ভোট দিতে পারেন। যিনি ভোট দিয়েছেন, তার ভোট যেন সঠিকভাবে হিসাব করা হয়। পাশাপাশি সেই ভোটে যেন প্রকৃত যিনি বিজয়ী প্রার্থী, তাকে যেন বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এটিই হচ্ছে আমাদের জাতির প্রত্যাশা। 

তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে মানুষ যাকেই চান, যে দলকে চান, আমরা জাতি হিসেবে তার পিছনে দাঁড়াবো। যে দল কিংবা ব্যক্তিকেই আমরা নির্বাচিত করি। ভবিষ্যতে যারাই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হবেন আমরা তাদের পেছনে থাকবো। 

সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের ১৯৬৮ ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের উচ্চ অর্জনটা কী? সেটা যাতে সঠিকভাবে তারা বুঝতে পারেন। ছাত্রছাত্রীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের লক্ষ্যটা উপরে নিয়ে যেতে হবে। এই উচ্ছ্বাসটা যদি এক হাজার জনের মধ্যে সৃষ্টি হয়, তারমধ্যে হয়ত ১’শ জন এটা অর্জনের জন্য কাজ করবে। তারপরে হয়ত সেখান থেকে একজন সফল হবে। এজন্যই আমাদের লক্ষ্যটাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। জীবনের বড় অর্জনটা কী?

উপদেষ্টা হওয়া কিংবা মন্ত্রী হওয়া-এটা কোনো বড় অর্জন নয় উল্লেখ করে ফাওজুল কবির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বড় অর্জনটা তাহলে কী ? বড় ব্যবসায়ী হওয়াটা কি বড় অর্জন? নাকি অর্থবিত্তের মালিক হওয়াটাই বড় অর্জন। নাকি অন্য কিছু বড় অর্জন। আমি মনে করি যে, ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের মতো একজন বড় বংশীবাদক হওয়াটাই বড় অর্জন। কিংবা আমাদের ডাক্তার ইমরান বিন ইউনুস-এর মতো একজন বড় কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়াটাই বড় অর্জন। আমরা যাতে অর্জনের মধ্যে গুলিয়ে না ফেলি। 

সংবর্ধিত কৃতী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সংবর্ধনার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে আরো বড় অর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। আমরা আশা করি তোমরা সামনে আরও বড় অর্জন করতে পারবে। আমি আশা করব তোমরা আরো বড় অর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ হবে।