বাসস
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৩

গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর  বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় একটি ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করবে। যা দেশের যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় টাকা, পণ্য ও সেবার নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এই ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, নন-ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি অন্য যেকোনো অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিক অর্থ প্রেরণ সম্ভব হবে।’

রাজধানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এবং গেটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডার ডিসকাশন অন ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গভর্নর আজ এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, অতীতে বাংলাদেশে এ ধরনের একটি সিস্টেম চালুর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে । তবে এবার উদ্যোগটি গেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা এবং মোজালুপ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়ায় সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই সিস্টেম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এবং ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। সেসব অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ও শিক্ষণীয়।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি একীভূত জাতীয় পেমেন্ট সিস্টেম চায়, যার মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিষ্ঠানের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, ‘ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি হবে গেম-চেঞ্জার।’

গভর্নর আরও বলেন, নগদ-ভিত্তিক অর্থনীতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে। তাছাড়া নগদের অতিরিক্ত ব্যবহার দুর্নীতি, ডাকাতি ও অবৈধ লেনদেনকে উৎসাহিত করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ ইন্টারঅপারেবল ক্যাশলেস সিস্টেম চালু হলে দুর্নীতি, ছিনতাই ও অবৈধ আর্থিক লেনদেন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে, রাজস্ব আহরণ সহজ হবে এবং জননিরাপত্তা উন্নত হবে।’

গেটস ফাউন্ডেশন ও মোজালুপ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি কার্যকর ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।