বাসস
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজ্ঞানী, পলিসি মেকার, অর্থসংস্থান, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সমন্বয় জরুরি : অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার ঢাকায় ‘নেভিগেটিং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স: মিডিয়া রিপোর্টিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বিজ্ঞানী, পলিসি মেকার, প্রতিষ্ঠান, অর্থসংস্থান এবং জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কার্যকর সমাধান সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এই পাঁচটি পার্টি যদি এক না হয়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা যাবে না।’

সোমবার রাজধানীর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) যৌথ আয়োজনে ‘নেভিগেটিং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স : মিডিয়া রিপোর্টিং’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।

জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সক্ষমতার প্রশংসা করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। উপকূলীয় এলাকার মানুষ দিন-রাত সংগ্রাম করে বেঁচে আছে। তাই জনগণের অভিজ্ঞতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশের জন্য এ মুহূর্তে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু আইএমএফ থেকে সামান্য ঋণ আনতেও বছরের পর বছর লেগে যায়। তাই আমাদের নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘সংবাদকর্মীরা শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিক খবরই নয়, বরং জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাস্তব চিত্র তুলে ধরবেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করাও আপনাদের দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, জাপানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষার্থীরা দুর্যোগ মোকাবিলার ওপর প্রশিক্ষণ পায়। প্রতিটি পরিবারে জরুরি ব্যাগ রাখার মতো ছোট ছোট উদ্যোগ আমাদের দেশেও চালু করতে হবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকৃতির ক্ষতি করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামাজিক উন্নয়নের নামে জমি দখল বা অবকাঠামো নির্মাণের আগে প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার কথা ভেবে কাজ করতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মানিত হবে।’