বাসস
  ২০ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৭

ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার পঞ্চদশ বৈঠক আজ

ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতপার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়ে ঐকমত্য গড়ে দ্রুত জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে, আজ দ্বিতীয় দফায় পঞ্চদশ দিনের বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দিনব্যাপী এ বৈঠকের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আজকের বৈঠকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রী মেয়াদকালসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো উপস্থাপন করে দ্রুত ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করবে কমিশন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বশেষ বৈঠক হয়। ওইদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হয় এবং দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বেশিরভাগ দল সমর্থন জানিয়েছে বলে জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

এর পরদিন বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের সদস্যদের একটি সভা হয়। সেখানে পূর্ববর্তী ১৪ দিনে কমিশনের সঙ্গে ৩০টি রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক আলোচনার বিভিন্ন দিক ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া মতবিরোধ দূর করতে সম্ভাব্য প্রস্তাব ও নীতিগত দিক নিয়েও আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে তিনি কমিশনকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়। সদস্যরা জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সদস্যদের ভূমিকার জন্য শুভেচ্ছা জানান।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির বিষয়, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান নিয়ে আইন প্রণয়ন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ ও উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, চব্বিশের আন্দোলনে শহীদ, আহত ও নির্যাতিতদের বীরত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতা থেকে জুলাই মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।