শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্লাস্টিক দূষণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বিগত কয়েক দশকে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাস্টিক সামগ্রীর বহুমুখী ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বিশেষ করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদন, যথেচ্ছ ব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার ফলে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, “পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) নির্ধারিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পলিথিন শপিংব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে দেশব্যাপী নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পলিথিন ব্যাগের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন, অনুমোদন ও প্রচলনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রান্সবাউন্ডারি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনার সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’-এর আওতায় এক্সপেনডেন্ট প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ চলছে, যেখানে উৎপাদনকারী নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহপূর্বক তা ব্যবস্থাপনা করবেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলই বর্তমানে পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে পর্যটন সীমিতকরণ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাবো নির্মল পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।