বাসস
  ০৯ জুন ২০২৫, ১০:০৩

পরিচ্ছন্ন শহর প্রতিদিনের দায়িত্ব : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া,ফাইল ছবি

ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫ (বাসস): স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, পরিচ্ছন্ন শহর শুধু একটি লক্ষ্য নয়, বরং এটি প্রতিদিনের একটি দায়িত্ব।

সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ৪৮৭টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ রাত ১০টার মধ্যেই! এটি সম্ভব হয়েছে সম্মিলিত পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও ভালোবাসার কারণে।

তিনি আরো বলেন, ‘এটি শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির জয়, পরিচ্ছন্নতা এখন কেবল অঙ্গীকার নয়, বরং বাস্তবতা।’

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘১২ ঘণ্টারও কম সময়ে পরিষ্কার ঢাকা। নগরবাসীর দায়িত্ববোধ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। পরিচ্ছন্ন শহর কেবল একটি লক্ষ্য নয়, এটি প্রতিদিনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকল সহকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।’

ঈদুল আজহা ২০২৫-এ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যেই ৪০ হাজার ১০৪ টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এতে নিযুক্ত ছিলেন ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এ সময়ের মধ্যে মোট ৪৮৭টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দু’দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে, এ বিষয়টি সবাই জানেন। ঈদের দ্বিতীয় দিনে যে বর্জ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা দ্বিতীয় দিনের কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করেননি। তা সত্ত্বেও আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে।

ঈদ উদযাপনের প্রাক্কালে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘কোরবানির আনন্দ হোক সুস্থ, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা ঈদের দিনকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে সক্ষম। ত্যাগের এই দিনে আমাদের দায়িত্ব কেবল কোরবানিতে শেষ হয় না, পরিবেশ রক্ষা করাটাও একটি বড় ইবাদত। আসুন, সবাই মিলে নিজ নিজ এলাকার কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলি। পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ আমাদের সকলের।’