শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় সংসদের ৭৫টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৬০৭টি আবেদন করা হয়েছে। অপরদিকে ২২৫টি আসনে সীমানা পরিবর্তন করতে কোনো আবেদনই করা হয়নি। ঈদের পর ইসির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ষষ্ঠ নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)। নির্বাচন ভবনে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় সংসদের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণী আবেদনের বিষয়টি আজকে ইসি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা মুলতবি করা হয়েছে। ঈদের পর পরবর্তী সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আবেদন জমা পড়েছে মোট ৬০৭ টি। ৭৫টি আসনের পুনঃবিন্যাস চেয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আবেদন করেছেন। এই আবেদনগুলো নিয়ে গবেষণা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে কমিটি পর্যায়ে। আজকের সভায় শুধু এটা উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা নিয়ে বিষদ আলোচনা হবে ঈদের পর। আমাদের কাছে ৭৫টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ৬০৭টি আবেদন এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আমাদের যে আইন আছে সেই আইন অনুযায়ী হবে। যেমন আইনে যে জিনিসগুলো আছে- প্রশাসনিক অখণ্ডতা। জিয়োগ্রফিকাল লোকেশন এবং স্ট্যাটাস, জনসংখ্যা ও ভোট সংখ্যা এবং ঐতিহাসিক ভিত্তিও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২২৫টি আসনে কোনো আবেদনই পড়েনি। সেখানে যদি জনসংখ্যার ভেরিয়েশনও থাকে জোর করতো এটাকে আমার ডিস্টার্ব করার দরকার নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনসংখ্যার সাথে ভোটার সংখ্যাটা ইন্টার রিলেটেড। বাংলাদেশের বাস্তবতায় আমাদের হয়তোবা জনসংখ্যা ব্যাপারটা একদম ঐকিক হারে করা যাবে না। কারণ এটার সাথে বাউন্ডারির ব্যাপার আছে।