বাসস
  ০৩ জুন ২০২৫, ১৫:২৫

বাংলাদেশের বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে আইওএম

বাংলাদেশের অভিবাসন অগ্রাধিকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে সোমবার ঢাকায় আইওএম পরিচালক মিশেল সিসন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশের দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, প্রবীণ সেবা ও কারিগরি প্রশিক্ষণসহ বৈধ অভিবাসন পথ সম্প্রসারণে অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইওএম গ্লোবাল অফিসের পরিচালক মিশেল সিসন সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি দেন। 

বৈঠককালে সিসন পুনর্বাসন, জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আইওএম-এর সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব, মানব পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 
তিনি বিশ্বব্যাপী সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।

সিসন পররাষ্ট্র সচিবকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের স্টাফদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ‘আইওএম ফিল্ড এডুকেশন প্রোগ্রাম’ এর আওতায় বাংলাদেশ সফর করেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদেরকে বাংলাদেশে আইওএম-এর মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা প্রদান করাই ছিল এই সফরের উদ্দেশ্য। 

বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব টেকসই আন্তর্জাতিক সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই মুহূর্তে সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও তহবিল হ্রাস পাচ্ছে।

এ সময় সিদ্দিক রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবর্তনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

সিদ্দিক রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী ও মর্যাদাসম্পন্ন প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।

সিসন আগামী ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পাশে উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক সম্মেলনে অংশ গ্রহণের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম বড় এই মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রয়োজন।’

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টিতেও আলোকপাত করেন। 

তিনি জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের তথ্য সংগ্রহে আইওএম এবং পরিবেশ ও ভৌগোলিক তথ্যসেবা কেন্দ্র (সিজিআইএস)-এর একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, এটি বাংলাদেশে আইওএম-এর প্রথম সরকারি উদ্যোগ হবে, যেখানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।

সাক্ষাৎকার শেষে দুই পক্ষ বৈশ্বিক অভিবাসন ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।