বাসস
  ০৩ জুন ২০২৫, ১৩:২৪
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ১৩:৩৪

গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা সালাহউদ্দিন আহমেদের

শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। কোলাজ : বাসস

ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৫(বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গুমের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজন এবং  অজ্ঞাতনামা আরো আসামীর বিরুদ্ধে গুমের এই অভিযোগটি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি অপর অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, র‌্যাবের সাবেক ডিজি বেনজির আহমেদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগটি আজ দাখিল করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসময় তার সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ বিএনপির আইনজীবীরা।

গত ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, শিলংয়ে উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে সালাহউদ্দিনকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটকের পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান।

তবে ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলে খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন আহমেদ ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। একপর্যায়ে ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১১ আগস্ট দিল্লি থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।