শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস): ফেডারেল আমলাতন্ত্র হ্রাস এবং পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার পর ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন।
হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই, সরকারি সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি এবং মামলা-মোকদ্দমার মতো একটি অস্থির অধ্যায়ের সমাপ্তি ইতি টেনে মাস্ক বুধবার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এই চরম অস্থিরতা সত্ত্বেও বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা ওয়াশিংটনের অপরিচিত পরিবেশে লড়াই করেছিলেন এবং তিনি তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম অর্জন করেছিলেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন ইলন মাস্ক। টাকা-পয়সাও খরচ করেন বেশ। তার প্রতিদান হিসেবে সরকারে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা ডিওজিই নামে একেবারেই নতুন একটি বিভাগ সৃষ্টি করেন ট্রাম্প।
তিনি ব্যয় কমানোর জন্য তার লক্ষ্য নাটকীয়ভাবে কমিয়ে এনেছিলেন। ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ ট্রিলিয়ন এবং ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নীচে নেমে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে ক্রমবর্ধমান বাধার মুখে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। কখনো কখনো তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে মাস্ক বলেছেন, ‘মার্কিন সরকারের একজন বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিওজিই-এর লক্ষ্য আরো শক্তিশালী হবে।’
ট্রাম্পের জন্য কাজ করা মাস্কের ভূমিকা সর্বদা অস্থায়ী ছিল এবং তিনি সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি তার ব্যবসা পরিচালনার দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে আনবেন। যেমন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক টেসলা এবং রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ইত্যাদি।
কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রায়শই অস্পষ্ট ছিলেন যে, মাস্ক কখন ‘ডগ’ নামে পরিচিত সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের নেতৃত্ব থেকে সরে আসবেন । কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি হঠাৎ করে তার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট এক্সে-এ এক পোস্টে বলেছেন, তিনি চলে যাচ্ছেন।
সিবিএস নিউজের একটি সাক্ষাৎকারের অংশ প্রকাশ করার একদিন পর মাস্ক তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তিনি ট্রাম্পের আইনসভার মূল বিষয়বস্তুর সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের ‘বড় সুন্দর বিল’ বলে ‘হতাশ’।
পরিবর্তন সম্পর্কে কথা বলতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুরোধ জানিয়ে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা মাস্কের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেয়ার সময় ইলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি ছিল, কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানো। তবে ডিওজিই ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত চার মাসে মাত্র ১৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমাতে পেরেছেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনে বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে মাস্কের ১৩০ দিনের মেয়াদ ৩১ মে,শনিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসন জানিয়েছে, ডিওজিই সরকার কাঠামো পুনর্গঠন ও ব্যয় সংকোচন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।