শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে নিম্ন আদালতের সাজা বাতিল করে আজ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুরের রায়ের ফলে এই মামলায় হাইকোর্টে আপিল না করা (নন অপিল্যন্ট) তারেক রহমানসহ অন্যরা খালাসের রায়ের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন জুবাইদা রহমানের আইনজীবীরা।
আদালতে আজ জুবাইদা রহমানের আপিলের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, এডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, এডভোকেট এসএম মাহিদুল ইসলাম সজিব প্রমুখ। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।
এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে থাকা এই মামলার নথি তলবের পাশাপাশি জুবাইদা রহমানের অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে পৃথক দুটি ধারায় তারেক রহমানকে মোট ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।