শিরোনাম

টাঙ্গাইল, ৯ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি দখল করার ঘটনায় মুচলেকার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পেয়েছেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন দখল করে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে আবাসনের চেষ্টা করেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি।
বাড়ি দখলের খবর পেয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাড়িটি দখলমুক্ত করে।
আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরিফ বাড়ি দখল মুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) রাতে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি মুচলেকা দেন।
মুচলেকায় তিনি বলেন, আমি আইনি অধিকার ব্যতিরেকে অন্যের ব্যক্তিগত বাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জন নারী-পুরুষকে আবাসনের চেষ্টা করে অপরাধ করেছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার পোস্টের কারণে ক্ষেত্র বিশেষে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে তার দায় আমার ওপর বর্তায়। আমি আমার নেতিবাচক ও বেআইনি কৃতকর্মের জন্য মানবিক বিবেচনায় ক্ষমাপ্রার্থী।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন শরিফ জানান, ‘মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি নামে এক নারী সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িটি অবৈধভাবে দখল করে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জন নারী-পুরুষকে আবাসনের চেষ্টা করে। পরে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। বাড়িটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। তাদের সরকারের ব্যবস্থাপনায় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।’
মুচলেকায় তার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টির স্বামীসহ মোট ৫ জন সাক্ষী স্বাক্ষর করেন। বিশ্ব নারী দিবস ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান বিবেচনায় ভুল শুধরে নেওয়ার একটি সুযোগ দিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, জেলার বেশ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তারা মিস্টির কর্মকাণ্ডের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দেন। পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।