শিরোনাম
ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)’কে ৬৬৭ মেট্রিক টন খেজুর দান করেছে সৌদি আরবের ‘কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ ফান্ড (কেএসরিলিফ)’।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের রাজকীয় দূতাবাস, কেএসরিলিফ ও ডব্লিউএফপি’র কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই খেজুর হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডব্লিউএফপির স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য খেজুরগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে, যা কক্সবাজার ও ভাসানচর উভয় স্থানেই ৩ হাজার ৫শ’টি শিক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে সহায়তা করা যাবে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, আগামী ১২ মাসে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমের জন্য জরুরিভাবে ১০ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এরমধ্যে বাংলাদেশে সমগ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য পূর্ণ রেশন বজায় রাখতে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
সৌদি আরবের এ সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এসেছে। মার্চ মাসে তহবিল সঙ্কটের কারণে এপ্রিল থেকে রেশন প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল ডব্লিউএফপি।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য ডব্লিউএফপি’র প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে আমরা গর্বিত।
তিনি বলেন, কেএসরিলিফের মাধ্যমে সৌদি আরব তার মানবিক নীতির প্রতি এবং বিশ্বজুড়ে বিপদগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা কেবল তাদের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং তাদের আশা ও মর্যাদার জন্যও অপরিহার্য।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি মানবিক জরুরি অবস্থার মধ্যে একটি। রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সংহতি অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদি আরব ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপি’র মানবিক প্রচেষ্টার দীর্ঘস্থায়ী সহযোগী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে দেশটি নগদ অর্থ ও উপকরণ উভয়ই প্রদান করে আসছে।