শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বে-আইনি পন্থায় রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, যাত্রী সাধারণকে মানসম্মত সেবা প্রদানে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও রেললাইনের ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধনের মতো কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। এতে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সেই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পারিচালনা করতে না পারায় রেলওয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরো যত্নশীল হওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, যেহেতু রেল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি জাতীয় সম্পদ, সেহেতু রেলের এই ক্ষতি ও লোকসান জাতীয় সম্পদ তথা সাধারণ জনগণের লোকসান। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেল ইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ যাবতীয় সম্পদ বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন। রেল একটি জাতীয় সম্পদ। এর সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যাবহার নিশ্চিত করা রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব।