শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বিজিবি সদর দপ্তরের মহাপরিচালকের সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবি’র রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করেন এবং সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ শাকিল আহমেদ হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
এ বছর ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক-সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-সেবা (পিবিজিএমএস) সহ সর্বমোট ৭২ জনকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়।
পদক প্রদান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদর দপ্তরের অভয়ারণ্যে বৃক্ষরোপণ করেন এবং সীমান্ত কুঞ্জে ভিভিআইপি রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন। দুপুর ১ টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর উত্তম খন্দকার ফজলুর রহমান মাল্টিপারপাস শেডে বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কেন্দ্রীয় প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন।
প্রীতিভোজে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, বিশেষ সহকারীবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ ফজর পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল মসজিদে বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী শাহাদাতবরণ করার কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বরকে শোক দিবস ঘোষণা করায় ঐদিন বিজিবি দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করে এবং ২৯ ডিসেম্বর বিজিবি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।