শিরোনাম

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং আরও সাতটি দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা চূড়ান্ত করেছে এনসিপি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীসহ মোট আটটি দলের সঙ্গে একযোগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এনসিপি সম্মত হয়েছে। এই জোট কেবল নির্বাচনী বাধা অতিক্রমের লক্ষ্যেই কাজ করবে না, বরং সংস্কার, ন্যায়বিচার, আধিপত্যবাদবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নেও কাজ করবে। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের জনগণের আকাঙ্ক্ষা যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেবে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। শুরুতে এনসিপি এককভাবে নির্বাচন করতে চেয়েছিল এবং ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি এবং সারাদেশে মনোনয়ন আহ্বানের কার্যক্রমও চলেছে। পরবর্তীতে সংস্কার ইস্যুতে আরও দুটি দলের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সমঝোতা হয়।'
নাহিদ ইসলাম জানান, 'শরীফ ওসমান হাদির প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। এ ঘটনায় স্পষ্ট হয় যে, আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।'
তিনি আরও বলেন, এই পরিবর্তিত বাস্তবতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বৃহত্তর জোটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। সে প্রেক্ষিতেই জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সঙ্গে থাকা আটটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাহিদ বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীসহ এই আটটি দলের সঙ্গে একযোগে নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপি সম্মত হয়েছে। দলের প্রার্থী সংক্রান্ত চূড়ান্ত ঘোষণা পরদিন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাহিদ বলেন, এই জোটের ব্যানারে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। যেসব আসনে এনসিপি প্রার্থী দেবে না, সেসব আসনে আমরা জোটভুক্ত অন্য দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নেবো।
তিনি আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ভিন্নমত পোষণকারীরা নিজেদের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে স্বাধীন থাকবেন।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান নিশ্চিত করেন যে, জামায়াতের নেতৃত্বাধীন আটদলীয় নির্বাচনী জোটে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যোগ দিচ্ছে।