বাসস
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৩০

নাটোরের ৪১ কারাবন্দী ভোট প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন

নাটোর জেলা কারাগার। ছবি : বাসস

।। ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন।।

নাটোর, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা কারাগারে অবস্থানরত ৪১ কারাবন্দী ভোট প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাটোর জেলায় ৪১ কারাবন্দীর নিবন্ধন কার্যক্রম আজ বিকেলে শুরু হচ্ছে।  

নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সফটওয়্যারে যুক্ত হয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আজ বিকেল ৪টা থেকে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। 

নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তীতে এসব বন্দী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন। কারাবন্দীদের মধ্যে থেকে স্বত:স্ফুর্তভাবে ভোট প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এমন বন্দীদেরই ভোট নিবন্ধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নাটোর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ। 

জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলা কারাগারে বর্তমানে বন্দীর সংখ্যা ৭৭৭ জন। এরমধ্যে ১৯ নারীসহ হাজতির সংখ্যা ৫৫৫ জন এবং চার নারীসহ কয়েদির সংখ্যা ২২২ জন। 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে প্রথমবারের মত কারাবন্দীদের ভোট প্রদানের সুযোগ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘোষণার প্রেক্ষাপটে কারাগার কর্তৃপক্ষ আটক হাজতি ও কয়েদিদের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করে। 

বিগত এক সপ্তাহের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ৪১ বন্দী। এরমধ্যে ১৭ জন হাজতি এবং ২৪ জন কয়েদি।

আশা করা হচ্ছে, আজ বিকেল ৪টা থেকে নির্বাচন কমিশনের পিআইডিএস সফটওয়্যারে যুক্ত হয়ে নাটোর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ৪১ বন্দীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করবে। নিবন্ধিত বন্দীরাই পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট প্রদানের সুযোগ পাবেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরে নিবন্ধিত হাজতি ও কয়েদিদের অনুকূলে প্রতীক সম্বলিত জাতীয় নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপার, গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপার ছাড়াও ভোটদাতার নির্দেশনাবলি এবং ঘোষণাপত্র প্রদান করবে নির্বাচন কমিশন। এই ঘোষণাপত্রে নিজের এলাকার প্রার্থী ও প্রতীক দেখে এবং গণভোট সংক্রান্ত প্রশ্ন পড়ে সজ্ঞানে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে গোপনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের পোস্টাল ব্যালটে টিক চিহ্ন বা ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। ঘোষণাপত্রে ভোটদাতা নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও তারিখসহ স্বাক্ষর করবেন। তবে নিরক্ষর ভোটারের ক্ষেত্রে অন্য কোন বন্দী ভোটারের পক্ষে ভোট প্রদান করে সত্যায়নকারী হিসেবে স্বাক্ষর প্রদানের সুযোগ থাকবে।

ভোট প্রদানের পর দুইটি ব্যালট পেপার সরবরাহকৃত আঠাযুক্ত একটি সাদা খামে রেখে মুখ বন্ধ করবেন ভোটার। এই খাম এবং ঘোষণাপত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা সম্বলিত হলুদ খামে প্রবেশ করিয়ে বন্ধ করার পরে ভোটার কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করবে। 

কারাগার কর্তৃপক্ষ দ্রুত খামটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় প্রেরণের ব্যবস্থা করবে। 

নাটোর জেলা কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেল বাসসকে বলেন, বন্দীদের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার পরে আজ থেকে সংশ্লিষ্ট বন্দীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটদানে আগ্রহী ৪১ বন্দীর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে সক্ষম হবো।