বাসস
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৭

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমকে রাজবাড়ীতে দাফন 

সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত মো. শামীম রেজার দাফন সম্পন্ন। ছবি: বাসস

রাজবাড়ী, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত মো. শামীম রেজার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গি গ্রামের মো. আলমগীর ফকিরের পুত্র। সেখানে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন বাংলাদেশী সৈনিক নিহত হন। সৈনিক মো. শামীম রেজা (২৮) তাদেরই একজন।

গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে শামীমের মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে কালুখালী উপজেলা মিনি ষ্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি হোগলাডাঙ্গিতে নিয়ে আসলে বাড়িতে শোকের মাতম দেখা যায়। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসিসহ কালুখালী উপজেলার সর্বস্তরের শত শত মানুষ শামীম রেজাকে শেষ দেখা দেখতে তার গ্রামের বাড়িতে ভিড় করে।  বাড়িতে ৩০ মিনিট রাখার পর  সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গতকাল বিকাল ৩.২০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন  হয়। 

তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম রেজা ছিলেন সবার বড়। বাবা মো. আলমগীর ফকির স্থানীয় মসজিদের একজন খাদেম। শামীম গত দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। তবে তাদের কোন সন্তান ছিলোনা।

এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, শামীম রেজা এলাকার একজন ভালে মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের সাথে তার নিবিড় সখ্যতা ছিলো। সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করে আসছিলেন। এলাকাবাসী শামীমের পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

নিহত শামীম রেজার ভাই সোহেল ফকির বলেন, ‘আমার বড় ভাই আমাদের পরিবারের  একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ভাইয়ের মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’ তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতা  কামনা করেন। 

মেজর মো. মোস্তফার, কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শামস সাদাত এবং মাহামুদ উল্লাহসহ এলাকার মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।