শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩১২৯ জনের বদলি সংক্রান্ত বিষয়াদি সমাধান কল্পে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। এতে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে কর্মচারীদের নিকট হতে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলীর আবেদন আহবান করার লক্ষ্যে বাপবিবো কর্তৃক চিঠি ইস্যু এবং আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বদলীর আবেদন গ্রহণ করা।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়-২ শাখা থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সভায় কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হল:
(ক) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বদলিকৃত ৩১২৯ জন লাইন টেকনিশিয়ান, লাইনম্যান গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ এর মধ্যে ৯৯৯ জন কর্মচারী (যাদের ইতোমধ্যে চাহিদা মোতাবেক পুনরায় বদলি করা হয়েছে অথবা যারা পুনরায় বদলি হতে ইচ্ছা পোষণ/আবেদন করেননি) ব্যতীত অবশিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে বদলিজনিত কারণে কোন কর্মচারী বিশেষ ও যৌক্তিক কোনো সমস্যায় উপনীত হলে (যেমন-বদলির কারণে স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থল আলাদা হওয়া) তার/তাদের বিষয়টি সমাধান করার লক্ষ্যে তাদের চাহিদার (পূর্বের কর্মস্থল ব্যতীত) প্রেক্ষিতে পুনরায় বদলির বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা
(খ) বদলি জনিত কারণে আলোচ্য তিনটি পদের কোনো কর্মচারী বিশেষ ও যৌক্তিক কোনো সমস্যায় উপনীত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী/কর্মচারীরা বদলির আবেদনে তা উল্লেখপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পূর্বের কর্মস্থল ব্যতীত বদলি ইচ্ছুক পবিসসমূহের নামসহ বাপবিবো বরাবর আবেদন করবেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আবদেনগুলো পর্যালোচনা করে তার/তাদের বিশেষ ও যৌক্তিক আবেদনের বিপরীতে অতীব জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে
(গ) উত্তম গ্রাহক সেবার মান বজায় রাখার নিমিত্ত আলোচ্য কর্মচারীদের পুনরায় বদলির প্রেক্ষিতে পবিসের জনবল ঘাটতি/উদ্বৃত্ত হলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তা দ্রুত সমন্বয় করবে এবং
(ঘ) দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত কর্মচারীদের পুনরায় বদলির বিষয়টি বিবেচনা না করা।
কমিটির সভাপতি গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান। এর প্রেক্ষিতে বাপবিবোর প্রতিনিধি জানান যে, গৃহীত সুপারিশের বিষয়ে বাপবিবোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পবিসের কোন কর্মচারী বিশেষ ও যৌক্তিক কোনো সমস্যায় উপনীত হলে (যেমন- বদলির কারণে স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থল আলাদা হওয়া) তার/তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার/তাদের সুবিধামত পবিসে পদায়ন করা হয়। যা আগে থেকেই চলমান রয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে লাইন টেকনিশিয়ান, লাইনম্যান গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ এই তিনটি পদের বদলিকৃত ৩১২৯ জন কর্মচারীর মধ্যে মোট ৯৯৯ জন কর্মচারীর নিকট হতে আবেদন গ্রহণপূর্বক তাদের চাহিদা মোতাবেক পুনরায় সমিতিতে পদায়ন করায় বিভিন্ন পবিসে উক্ত পদের ৮১ জন কর্মচারী উদ্বৃত্ত হয়েছে।
পক্ষান্তরে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বর্ণিত পদসমূহের ৮১ জন কর্মচারী ঘাটতি হয়েছে। এসব পদের ঘাটতি/উদ্বৃত্ত জনবল এখনও সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি।
অবশিষ্ট ২১৩০ জন কর্মচারীর নিকট হতে আবেদন গ্রহণপূর্বক পুনরায় তাদের চাহিদা মোতাবেক পদায়ন করা হলে বিভিন্ন পবিসে উক্ত পদের ঘাটতি/উদ্বৃত্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। যার ফলে গ্রাহক সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে।
সভাপতি আরও জানান, পবিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়াদি সমাধানকল্পে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং উপদেষ্টা বিষয়টি অবগত রয়েছেন। তাই আলোচ্য পদের অবশিষ্ট ২১৩০ জন কর্মচারীর নিকট হতে আবেদন গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে শুধু যৌক্তিক ও বিশেষ সমস্যায় উপনীত কর্মচারীদের পুনরায় বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে এবং দাপ্তরিক শৃঙ্গলা পরিপন্থি কাজে জড়িত কর্মচারীদের পুনরায় বদলির বিষয়টি বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই।
তিনি জানান, পবিসসমূহের যে কো পদের জনবল ঘাটতি/উদ্বৃত্ত থাকা উত্তম গ্রাহক সেবার অন্তরায় বিধায় সকল পদের ঘাটতি/উদ্বৃত্ত জনবল দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন। সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আলোচ্য ৩টি পদের কর্মচারীদের নিকট হতে আবেদন গ্রহণ করার লক্ষ্যে চিঠি ইস্যু করা এবং আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে শুধু যৌক্তিক কারণে কর্মচারীদের পুনরায় বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কমিটির সকল সদস্য সভাপতির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।