শিরোনাম

খুলনা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে জেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। খুলনার জেলা প্রশাসক আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ তারিখে ব্যালটের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রচার করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫ এর বিধি-১৫ (খ) অনুসারে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয় এবং কোনো সরকারি অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
বিধি-৭ (ঞ) অনুযায়ী ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুনে পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক (পিভিসি) ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।
বিধি-১৫ (ক) অনুসারে, নির্বাচনি প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত কুৎসা রটানো, অশালীন এবং আক্রমণাত্মক বা ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না।
বিধি-১৮ অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না এবং ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে নির্বাচনি প্রচারণা সমাপ্ত করতে হবে।
বিধি-২৭ (ক) অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদ, মন্দির বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়, সরকারি অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনি প্রচারণামূলক কার্যক্রম যাতে না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।