বাসস
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৫

রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানিকৃত পণ্য খালাসে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৯৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটে আসামিরা হলেন - সাদমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও আমদানিকারক মো. আবুল হাসনাত সোহাগ, কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের সাবেক প্রিন্সিপাল এপ্রেইজার হুমায়ুন কবির এবং সাবেক এপ্রেইজার মো. মুজিবুর রহমান। এ মামলায় এম আর কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হারুন শাহ তদন্তকালে মারা যান।

তদন্তে উঠে আসে, ২০১০ সালে চীন থেকে ঘড়ি, টিভি, ডিভিডি, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির সময় সংশ্লিষ্ট চালানটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনলাইন আইজিএম ব্লক থাকা সত্ত্বেও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য খালাস করেন। এ সময় প্রকৃত পণ্যের পরিবর্তে কম শুল্কযুক্ত পণ্যের এইচএস কোড ব্যবহার করে শুল্কায়ন করা হয় এবং বাধ্যতামূলক প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) ছাড়াই চালান ছাড় দেওয়া হয়।

পুনঃশুল্কায়নে দেখা যায়, আমদানিকৃত পণ্যের বিপরীতে প্রকৃত প্রদেয় শুল্ক-কর ছিল ৯৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৩ টাকা ১৩ পয়সা। অথচ পরিশোধ করা হয় মাত্র ২ লাখ ৮১১ টাকা ৭৬ পয়সা। ফলে সরকারি রাজস্ব বাবদ ৯৪ লাখ ৬১ হাজার ৯০১ টাকা ৩৭ পয়সা আত্মসাত করা হয়।

দুদক জানায়, অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও ভুয়া নথি সৃজন ও ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।