শিরোনাম

লালমনিরহাট, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লালমনিরহাটে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে সংগঠনটির রংপুর বিভাগীয় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
আজ রোববার বিকেলে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। র্যালি শেষে জেলা পরিষদের পুরাতন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শাখার সভাপতি মো. আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজসেবক আলহাজ গোলাপ হোসেন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম ও মো. মোতালেব হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সোহেলী হাউজ বিল্ডার্সের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সোলায়মান মিয়া, রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল ইসলাম আলমগীর, আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ফাতেমা আক্তারসহ অনেকে।
বক্তারা নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা অবিলম্বে নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মিস্ত্রিদের জন্য ৮০০ টাকা এবং সাধারণ লেবারদের জন্য ৬০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আফজাল হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো নির্মাণ শ্রমিকরা। তাদের শ্রমেই উন্নয়নের চাকা সচল থাকে। অথচ তাদের জীবনমান ও নিরাপত্তা প্রায়ই উপেক্ষিত। সরকারের উচিত দ্রুত ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উদ্বোধক মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, শ্রমিকদের ঐক্যই সংগঠনের প্রধান শক্তি। নতুন বিভাগীয় কমিটি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভা শেষে গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে আহ্বায়ক এবং লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি মো. আল আমিনকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি শ্রমিক কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
অনুষ্ঠান শেষে পাঁচ শতাধিক অসহায়, দরিদ্র ও অকর্মক্ষম শ্রমিকের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।