বাসস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৩

কুড়িগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

কুড়িগ্রাম জেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

কুড়িগ্রাম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। 

আজ সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব উল হক, সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন এস এম রাফসান আহমেদ।

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বি এম কুদরত এ খুদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, জেলা জামায়াত সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন এবং সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছিল। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁদের আদর্শ ও চিন্তাধারা ধারণ করেই একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।” 

তিনি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি দেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম বর্বর অধ্যায়। এ ধরনের ইতিহাস স্মরণ করার মাধ্যমে দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়।

অন্যান্য বক্তারাও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।