শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পাবলিক হেলথ সেন্টারগুলোকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের সর্বোচ্চ ও গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের বসার রুমগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসে পরিণত করা যাবে না। এটি চিকিৎসার জায়গা, সমস্যা সমাধানের জায়গা। সরকার থেকে বেতন নিয়ে দায়িত্ব পালনই চিকিৎসকদের মূল কাজ।
আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন।
এসময়, চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন নির্মিতব্য বার্ন ইউনিট ও শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের অর্থায়নে হৃদরোগ বিভাগের আধুনিকায়ন প্রকল্পের প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বাইরে পোস্টিং পাওয়া অনেকেই কর্মক্ষেত্রে গিয়ে স্বাক্ষর করে চলে আসেন। ফুল টাইম অফিসে না থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এবার বদলি ও প্রমোশন পোস্টিং অটোমেশনে হবে, বৈষম্য থাকবে না।
নুরজাহান বেগম বলেন, ডায়বেটিস, প্রেসার, স্ট্রোকসহ নানা রোগে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেই। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কোনো লক্ষণ নেই। পরিবার পরিকল্পনায় উন্নতি হলেও শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে। প্রতিকার ছাড়া হাসপাতাল বাড়ালেও মানুষ মরবে।
তিনি বলেন, প্রজননস্বাস্থ্য উন্নয়নে মাদক ও বাল্যবিয়ে রোধ জরুরি। মাকে হাসপাতালে আনা নিশ্চিত করতে পারলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু অনেকটা কমবে। শিশুর জন্ম হাসপাতালে নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনিসুল আউয়ালের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. ওমর ফারুখ ইউসুফ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক নুরুদ্দিন, বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ, শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর প্রমুখ।