শিরোনাম

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন
ফেনী, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ফেনীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ভোটাররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আজ সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণার পর কথা হয় ফেনী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে আশা করছি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী রেহানা আক্তার রানু মনে করেন, তফসিল ঘোষণা মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল শঙ্কা কেটে গেছে। একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে। তবে সেই ভোট রাতে নয় দিনে হবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, ভোট নিয়ে আর কোন শঙ্কা নেই। তবে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।
এবি পার্টি ফেনী জেলার আহবায়ক আহছানুল্লাহ বলেন, মানুষ চায় ভোট দিতে। সে কাঙ্ক্ষিত দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় ফেনীর সর্বস্তরের জনমনে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।
এনসিপির জেলা সদস্য সচিব শাহ ওয়ালিউল্লা মানিক বলেন, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশি উৎসাহ বিরাজ করছে।
অনেকেই ভোটার হওয়ার পর থেকে বিগত চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন খান ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করায় সব শ্রেণী পেশার মানুষ খুশি হয়েছেন। আশা করছি এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের কারণে মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে এক ধরনের অনিহা তৈরি হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের আরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা আলামিন বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক করে ভোটারদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আশা করছি, সর্বস্তরের ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগে কেন্দ্রে যাবেন।
সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী মনে করছেন, এখনো ভোট নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীকে সমানভাবে প্রচার-প্রচারণাসহ সমান সুযোগ নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই দীর্ঘদিন পর একটি উৎসবের নির্বাচন দেখবে ফেনীবাসী।
প্রসঙ্গত, ফেনীর তিনটি আসনে ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের পক্ষ থেকে ছয়টি উপজেলাতে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক, কর্মীসভাসহ নানা প্রচারণা শুরু হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর পুরো জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।