শিরোনাম

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৯টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ২ দিনব্যাপী ‘আর্ট ফর ইক্যুয়ালিট’ শিল্প কর্মশালা আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার দে জানান, কর্মশালায় ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন। নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের যৌথ বাস্তবায়নে ৪ বছর মেয়াদি ‘সমতায় তারুণ্য-ইয়ুথ ফর ইক্যুয়ালিটি’ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল, ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাত্তার, চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ইনফ্লুন্সিং, ক্যাম্পেইন ও কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ও কর্মশালার কিউরেটর ড. শেখ মনির উদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্মশালার উদ্দেশ্য, কার্যক্রম উপস্থাপন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘গত বছরের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী নারী। এখানে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় এখনো নারীরা পিছিয়ে।’
কর্মশালায় আগত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখানে সবার চিন্তার মিথস্ক্রিয়া হবে। ফলে আপনারাই একটি সমতা ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারেন।’
চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান বলেন, ‘শিল্পীরা কোনো দলের নয়। শিল্পীরা সকলের। শিল্পীরা বৈষম্যহীনতার অগ্রসৈনিক। তাদের শিল্পকর্ম সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।’
চারুকলা প্রাঙ্গণে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ঢাকা আর্ট কলেজ, নারায়ণগঞ্জ ফাইন আর্ট ইনস্টিটিউট ও যশোর এস এম সুলতান আর্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করছেন।