শিরোনাম

ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবিএল)-এর কয়েকটি শাখায় সংঘটিত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ ইউসিবিএলের সাবেক পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আাক্তার হোসেন। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ এসব মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক মো. মাইনউদ্দীন, উপসহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ এবং উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।
দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে মোট ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বশির আহমেদের প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্স-এর কর্মচারী ও সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষ—নুরুল বশর, মোহাম্মদ আয়ুব, মো. ইউনুছ ও মো. ফরিদুল আলমদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করে তাদের নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঋণ গ্রহণ করেন। পরে এসব ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের পর অর্থ হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
ঘটনাগুলো সংঘটিত হয় ২০২১ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে ইউসিবিএলের চকবাজার, পোর্ট, জুবলী রোড, পাহাড়তলী, শান্তিনগর ও খুলশী শাখা এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, ভুয়া ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান বশর ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাইটেড ট্রেডিং, মোহাম্মদিয়া এন্টারপ্রাইজ ও ইউনিক এন্টারপ্রাইজ এর নামে ইউসিবিএল-এর সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ৮ কোটি, ৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার, ৫ কোটি ২০ লাখ এবং ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়—যা পরবর্তীতে আত্মসাৎ করা হয়।
মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, এক্সিকিউটিভ কমিটির সাবেক সদস্য ও পরিচালক বশির আহমেদ, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বজল আহমেদ বাবুল, এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং আসিফুজ্জামান চৌধুরী।
মামলাগুলো দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় দায়ের করা হয়েছে।