শিরোনাম

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত আচরণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সংলাপের ব্যাপারে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলের আচরণ বিধিমালার গেজেট পেলেই সংলাপের সময় ঠিক করে নেবো।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘ইতোমধ্যে আচরণবিধি চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কমিশন চায় সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে। গেজেট প্রকাশের পরেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হবে।’
ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বাসসকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে একটি খসড়া তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। কমিশন বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা করছে। সময় চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’
নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নারী নেত্রী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এসব মতবিনিময় থেকে পাওয়া পরামর্শ ও প্রস্তাবই আচরণবিধি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন চায়, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এজন্য কমিশন সংলাপকে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের মতামতও নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংলাপে আচরণবিধির বাস্তব প্রয়োগ, প্রার্থীদের আচরণ, প্রচারণার নিয়ম, নির্বাচনী ব্যয় ও মিডিয়ার ভূমিকা-এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কমিশন চায় সংলাপ শেষে একটি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক আচরণবিধি কার্যকর করা।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এগোতে চায়। আমরা চাই রাজনৈতিক দলগুলো আস্থা নিয়ে অংশগ্রহণ করুক, যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হয়।’