শিরোনাম

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে তিনি কাজ করবেন।
ক্রিস্টেনসেন বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার মনোনয়ন শুনানিতে অংশ নেন। শুনানির উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিকে বলেন, ‘যদি অনুমোদন পাই, তাহলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তার ভবিষ্যৎ উত্তরসূরির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলব, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।’
তিনি বলেন, উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি সরকারের পতন হয়। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকার ও নতুন পথ বেছে নেবে। যা হবে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।’
ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ক্রিস্টেনসেন সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন ক্যারিয়ার সদস্য। অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসাডর এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপোটেনশিয়ারি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের কারণে এটি একটি উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফরেন সার্ভিস জীবনে বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন নীতি নিয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যার মধ্যে ঢাকায় আমার পূর্ববর্তী দায়িত্ব পালনও অন্তর্ভুক্ত। তাই আমি এর গুরুত্ব এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত।’
ক্রিস্টেনসেন বলেন, নতুন এশীয় টাইগার হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় এগিয়ে যাচ্ছে। ‘অনুমোদন পেলে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়াতে, বাণিজ্য বাধা ও ঘাটতি কমাতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করব।’
তিনি বলেন, গত আট বছর ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনুমোদন পেলে আমি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও কার্যকর সমাধানে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘যদি অনুমোদন পাই, তাহলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দক্ষ নারী-পুরুষদের নেতৃত্ব দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব এগিয়ে নেওয়া আমার জন্য সম্মানের বিষয় হবে। আজ আমাকে সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাদের প্রশ্নের অপেক্ষায় আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্রিস্টেনসেন।