শিরোনাম
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগ এবং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ (সিসিএস)-এর যৌথ উদ্যোগে “ইন্ট্রোডাকশন অব ট্র্যাডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন এন্ড মেডিকেল প্রাকটিস’’ শীর্ষক সেমিনার আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক আমিনা আলম কোঠা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবদুর রশিদ।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের নিজস্ব ভেষজ ও প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা করলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি চীনের মতো ঐতিহ্যভিত্তিক গবেষণাকে আধুনিক ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, তাহলে দেশের ওষুধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রচলিত চিকিৎসা ও আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই; বরং উভয়ের সম্মিলনেই স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নিহিত। গবেষণা, শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা একে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি।”
এরপর বক্তব্য রাখেন চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (এসএইচইউটিসিএম)-এর ডিন ও অধ্যাপক ড. হাইলেই ঝাও। তিনি বলেন, “ট্রাডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন শুধু একটি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি মানুষের শরীর, মন ও প্রকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপনের এক জীবনদর্শন। এই ঐতিহ্যকে আধুনিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা মানবকল্যাণের জন্য অপরিহার্য।”
সমাপনী বক্তব্যে অ্যাকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ড. ই লি বলেন, “অ্যাকুপাংচার কোনো রহস্য নয়, বরং এটি শরীরের শক্তি বা ‘চি’-এর প্রবাহকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সহাবস্থানে কাজ করছে এবং বিশ্বজুড়ে বিকল্প চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”
বক্তব্য শেষে ফার্মেসি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেলিম রেজা অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় একটি লাইভ অ্যাকুপাংচার প্রদর্শনী, যেখানে ড. ই লি নিজে ফার্মেসি অনুষদের চারজন শিক্ষার্থীর ওপর প্রাচীন চীনা চিকিৎসা কৌশলটি বাস্তবভাবে প্রদর্শন করেন। উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিরা গভীর আগ্রহের সঙ্গে পুরো সেশন উপভোগ করেন।