শিরোনাম
নীলফামারী, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ৩ টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল রোববার রাত ১১টায় ওই পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে করে এসব গ্রামের অন্তত ৫ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গতকাল রোববার রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করলে আজ সোমবার সকাল ৬ টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সকাল ৯ টায় আরও কমে বিপৎসীমার ৩ সেণ্টিমিটার, বেলা ১২ টায় ১০ সেন্টিমিটার এবং বেলা ৩ টায় ২০ সেন্টিমিটার নিচে নামে।
তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলা কালিগঞ্জ নামক স্থানে জিরো পয়েন্টে নদীর ডানতীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সেখানে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে রাতেই বাধটি রক্ষা করতে সক্ষম হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন,‘তিস্তা নদীর পানি বেড়ে সৃষ্ট ওই বন্যায় উপজেলায় ৬০ হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় কোন ক্ষতি হয়নি’।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,‘ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
গতকাল রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি কমতে শুরু করে।
আজ সোমবার সকাল থেকে পানি কমে বেলা ৩ টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে’।
তিনি আরও জানান, তিস্তার জিরো পয়েন্টের কাছে কালিগঞ্জ নামক স্থানে তিস্তার ডানতীর প্রধান বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিলে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো গেছে।