বাসস
  ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৫
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩৬

রাজশাহী দেশের সবচেয়ে সুন্দর নগরী: আলোচনায় বক্তারা

ছবি : বাসস

রাজশাহী, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, রাজশাহী দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী।

দেশের অন্যান্য নগরীর তুলনায় রাজশাহীর পরিবেশ, পরিকল্পনা ও নাগরিক সুবিধা অধিক উন্নত। বক্তারা নগরীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে একে আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

আজ সোমবার বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

আরডিএ চেয়ারম্যান এস. এম. তুহিনুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, গণপূর্ত রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী এবং জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।

বক্তারা বলেন, দেশের মানুষ এখনও স্বীকার করে যে রাজশাহী একটি ভালো শহর। এমনকি ছোট শিশুকে জিজ্ঞাসা করলেও সে বলবে—রাজশাহী সবচেয়ে সুন্দর শহর। তবে নগর পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিছু সক্ষমতার ঘাটতি ও দুর্বলতা রয়েছে। সাহেব বাজার, লক্ষ্মীপুর ও ভদ্রা মোড়ের যানজটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে পার্কিং ব্যবস্থা অত্যন্ত অপ্রতুল।

অটোরিকশার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হওয়ায় তিন-চার লেনজুড়ে জায়গা দখল করে রাখছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে অনেক রাস্তায় পানি জমে থাকে। নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে কিছু ভবন নির্মিত হচ্ছে, যেগুলোর প্রবেশপথ হিসেবে ফুটপাত ব্যবহার করা হচ্ছে—যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া, ম্যানহোলের ঢাকনা ঘনঘন চুরি হচ্ছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “আমরা এখনও নগরের সব সুবিধা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারিনি। ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে, যা একটি বড় সমস্যা। তবে একটি ইজিবাইক মানে একটি পরিবারের চালিকাশক্তি—তাই এই সমস্যার সমাধান সহজ নয়।”

আলোচনা সভার আগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।