শিরোনাম
বগুড়া, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে বগুড়ার শাজাহানপুরের গণ্ডগ্রাম শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে আশ্রম প্রাঙ্গণ সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার সূচনা কোলাসুর বধের মধ্য দিয়ে। দেবতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন হয়।
এবার মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয় ডা. তন্ময় বর্মণ ও ডা. প্রিয়াংকা সাহার কন্যা ৭ বছর ২৯ দিন বয়সী তেজস্বী বর্মণ পংক্তিকে। বয়স ৭ বছরের বেশি হওয়ায় তিনি ‘কুব্জিকা’ রূপে পূজিত হন। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন আশ্রমের পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী।
পূজা দেখতে আসা নির্মলা রানী বলেন, গত চার বছর ধরে এই আশ্রমে কুমারী পূজা হচ্ছে। জগত মাতার শুদ্ধতার প্রতীক হচ্ছেন কুমারী। মানুষের মধ্যেই মা দুর্গা রয়েছেন এই বোধটাকেই প্রচারের জন্য কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
আরেক দর্শনার্থী গৌরব দাস বলেন, মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, মা যেন আমাদের সকল অশুভ শক্তি থেকে দূরে রাখেন। মঙ্গলময়ী মা যেন জগতের সকলের মঙ্গল করেন।
পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতেই কুমারী পূজা করা হয়। প্রতিমা পূজারই বাস্তব রূপ এই কুমারী পূজা।
এ দিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর বগুড়ার ১২ উপজেলায় ৬৮৬টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে উৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও মন্দির কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসব শেষ হবে।