শিরোনাম
\ আজাদ রুহুল আমিন \
বাগেরহাট, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫(বাসস) : দেশবিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি)। সারাদেশের যুবসমাজকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ ইনস্টিটিউট নিরলসভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন মেয়াদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশবিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।
বাগেরহাট আইএমটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.হাবিবুল্লাহ বাসসকে বলেন, দেশে-বিদেশে চাকরির বাজার ও বেকারত্ব দূরীকরণে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শর্ট কোর্স সম্পন্ন করে বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তিনি জানান, এই ইনস্টিটিউট থেকে ৪ বছর মেয়াদি শিপবিল্ডিং এবং মেরিন টেকনোলজি থেকে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীরা দেশের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পাওয়ার প্লান্ট, শিপইয়ার্ড, ডকইয়ার্ড, ইংল্যান্ড শিপসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও ফ্যাক্টরিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে থাকে। এছাড়া দেশের বাইরে ইরাক, সিংগাপুর, জাপান,চায়নাসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বে শিক্ষার পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ পেয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ইনস্টিটিউট দেশবিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ২০১৩ সালে ২.৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলার সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের চিতলি বৈটপুর নামক দড়াটানা সেতুর একপ্রান্তে ২০১৩ সালে এই ইনস্টিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরে চারতলা বিশিষ্ট ২ টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করে যেখানে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রাবাস ও ১৬০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা হয়।
ইনস্টিটিউট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করতে ৪ বছর সময় লাগে। একটি হলো মেরিন টেকনোলজি। অপরটি শিপবিল্ডিং টেকনোলজি কোর্স। এছাড়াও আছে ৬ মাসের জাপানি ভাষা শিক্ষা কোর্স। ৪ মাসের শর্ট কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে; অ্যাডভান্সড ওয়েলডিং, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন, এ্যাড মেইনটেইনান্স, মেশিন শপ প্র্যাকটিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও কেয়ার গিভিং।
সূত্র জানায়, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী আছে। তাদের মধ্যে ২৪৯ জন পুরুষ, ১ জন নারী। বর্তমানে জাপানি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ৪৭ জন পুরুষ ও ১ জন নারীসহ ৪৮ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন শর্ট কোর্সে আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের ১২তম ব্যাচ চলমান।
জানা যায়, এই ইনস্টিটিউটের ভর্তি প্রার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। পিএসসি কর্তৃক নন ক্যাডার, প্রজেক্ট, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন তহবিলের মাধ্যমে এ ইনস্টিটিউটে শিক্ষক ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।