শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক ৪ ক্রেডিটের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) কোর্স চালু করেছে।
সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীন এটুআই (অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট) এবং ইউনিসেফ এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে এই কোর্স চালু করা হয়। কোর্সটিতে থাকবে ৩ ক্রেডিট থিয়োরি ও ১ ক্রেডিট প্র্যাকটিক্যাল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজ পর্যায়ে স্নাতক সম্মান প্রোগ্রামের ৩১টি বিষয় ও অন-ক্যাম্পাসের ৪টি বিষয়ের প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী এই কোর্সে অংশ নেবে।
আগামী বছর থেকে স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামের আরও ২ লাখ শিক্ষার্থী যুক্ত হলে প্রতিবছর মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী এই কোর্সের আওতায় আসবে।
তবে শিক্ষক ঘাটতি ও পর্যাপ্ত কম্পিউটার ল্যাবের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় এটুআই ও ইউনিসেফ কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আইসিটি শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ট্রেনিং অব ট্রেইনারস (টিওটি) কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে অনলাইন কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি ও ৯০ জন কোর ট্রেইনার তৈরির জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। ধাপে ধাপে এসব প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৮৮৩টি অনার্স কলেজে ৯০০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরবর্তী বছর থেকে ডিগ্রি (পাস) প্রোগ্রামেও আইসিটি কোর্স চালু হবে এবং প্রায় ১২ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোসফট ও জিডব্লিউই(অ্যাডোব)-এর সহায়তায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের প্রফেশনাল স্কিলড কোর্স চালুর পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক আইসিটি দক্ষতা অর্জন করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম জনশক্তিতে পরিণত হবে বল আশা করা হচ্ছে।