শিরোনাম
খুলনা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের (এসসিএমএফপি) প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে চিংড়ি খাত এবং চিংড়ি চাষীদের বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার চিংড়ি খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আজ সোমবার খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের ‘প্রোসেস এন্ড রেজাল্ট ডেমোন্সট্রেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় মৎস্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্ব করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেড এ কর্মশালার আয়োজন করে। মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেড রোগমুক্ত চিংড়ির পোনা চাষ এবং কন্টাক্ট ফার্মিং এর লক্ষ্যে ‘সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ’ নামক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, এসসিএমএফপি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই সরকারের উদ্যোগ ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না, চিংড়ি খাতকে বাঁচাতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় এসিআই এগ্রোলিংক একটি সুপার এসপিএফ (স্পেসিফিক প্যাথোজেন ফ্রি) পি এল (পোস্ট লার্ভা) নার্সারি স্থাপনা করেছে। যেখানে ১০ থেকে ১২ দিনের এসপিএফ পোনা সংগ্রহ করে ৫৮ দিন নার্সিং করা হয় (এসপিএফ পোনা হলো নির্দিষ্ট ভাইরাসমুক্ত পোনা)। এই নার্সারি থেকে চিংড়ি চাষীরা সুপার এসপিএফ পোনা পাবে, যা চিংড়ির রোগ ও মৃত্যুহার কমাতে এবং চিংড়ির ভালো উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় অতিথি এবং চাষিরা এ প্রকল্পের অধীনে সবাই রোগমুক্ত সুপার পোনা নার্সিং, উন্নত ঘের ব্যবস্থা এবং জৈব-নিরাপত্তার মাধ্যমে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহিন, বিএফএফইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তারিকুল ইসলাম জহির, মৎস্য অধিদপ্তরের এসসিএমএফপি প্রকল্পের ডিপিডি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম, মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা জেলার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ.টি.এম. তৌফিক মাহমুদ, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম, খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান ও মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার বসাক।
এসিআই’র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসিআই এগ্রোলিংক’র বিজনেস ডাইরেক্টর সাঈদ এম ইশতিয়াক। প্রকল্প সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্টে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন এসিআই এগ্রো বিজনেস-এর প্রোগ্রাম হেড হাসিবুল মান্নান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসিআই শ্রিম্প জেনেটিক্স এর হেড অব বিজনেস মো. শোয়েব চৌধুরী।
কর্মশালায় অতিথিরা বাংলাদেশের চিংড়িকে ‘শ্বেত স্বর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।