বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:১৮

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা ভোট গণনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। 

নির্বাচনে গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর গণমাধ্যম অপরিহার্য। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় গণমাধ্যম যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে,  সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে, যাতে কোন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। শুরু থেকেই সবার কাছে সমস্ত তথ্য যেন পৌঁছায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা জরুরি। 

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। 

সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসির সংলাপে প্রথম অধিবেশনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বেগম রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবিরসহ ১৩ জন অংশ নেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানসহ ১৫ জন শিক্ষাবিদ অংশ নেন।   

শিক্ষাবিদরা ইসিকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা চাই ইসির কর্মপরিকল্পনা ও আইনি কাঠামোর বাস্তবায়ন। ইসি সুষ্ঠু নির্বচনের জন্য কাজ করছে, এটা আমরা দেখতে চাই।    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য  ড. নিয়াজ আহমদ খান ডাকসু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, আমরা সাংবাদিকদের পাশে পেয়েছি। তাদের সাথে সব সময় কথা বলেছি। কখনো কখনো বিরক্তিকর কথাবার্তাও তাদের সঙ্গে হয়েছে। কিন্তু তাদের সাপোর্ট অমূল্য হয়েছে। তাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যালট বাক্স খেলা থেকে গণনা পর্যন্ত সাংবাদিকেরা ছিলেন। 

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকরা আমাদের লাইফসেভিং ছিল। তারা পুরো প্রক্রিয়া কাছ থেকে দেখেন, এটা আমাদের খুব কাজে লেগেছে। ডাকসু নির্বাচনে তাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন অমূল্য। 

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে ঢাবি উপাচার্য বলেন, অলরেডি আপনাদের কিছু সুনাম অর্জন হয়েছে। বিশেষ করে ভোটার তালিকার ব্যাপারে। আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ব্যালট এবং প্রত্যেকটা ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।

সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন শিক্ষাবিদদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নির্বাচন আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। ন্যাশনাল ইলেকশনে সবার দায়িত্ব আছে। আপনাদের অনুরোধ করব, যেহেতু সোসাইটিতে আপনাদের ইনফ্লুয়েন্স রয়েছে, আপনাদের কথা মানুষ শোনেন। আপনারা আমাদের দূত হয়ে আপনারা কাজ করবেন। আমরা যাতে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন জাতিকে উপহার দিতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।