শিরোনাম
আজাদ রুহুল আমিন
বাগেরহাট, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস) : জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনোমুগ্ধকর এবং দর্শনার্থীদের জন্য উপভোগ্য পূজামণ্ডপ চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারি পশ্চিম পাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ। এই মণ্ডপের বিশেষ আকর্ষণ দৃষ্টি নন্দন ১৭১ টি প্রতিমা। ইতোমধ্যে ভাস্করের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিল্পির নান্দনিক তুলির বর্ণিল ছোঁয়ায় সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে প্রতিমাগুলো। শারদীয় উৎসবকে বরণ করতে অপেক্ষায় পূজারীরা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে শঙ্খের ধ্বনিতে, কাঁসরের ঘণ্টায় চারিদিকে সাজসাজ রব। ঘরে ঘরে প্রতীক্ষা কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
চিতলমারী উপজেলায় ৮৫ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে এগিয়ে এসেছে উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পারস্পরিক সহযোগিতা, শ্রদ্ধাবোধ আর মানবিকতা আজ উচ্চশিখরে অধিষ্ঠিত।
চিতলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি জানান, পূজা উপলক্ষে বলেশ্বর নদীতে নৌকা বাইচ এবং খাসেরহাটের মেলা হবে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বাসসকে বলেন, একটি গ্রামের মধ্যে এমন অভূতপুর্ব হিন্দুধর্মের মিলনমেলাকে ঘিরে চারিদিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের আনন্দে যাতে কোনো ব্যাঘাত না হয় সে বিষয়ে আমরা সদা তৎপর।
এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা কালাচাঁদ সিংহ বলেন, এই দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান আর পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলের মানুষের একসাথে বসবাস। শান্তি সম্প্রিতির এক মিলনক্ষেত্র। এখানে সবাই নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে উৎসব উদ্যাপন করবে এটাই স্বাভাবিক।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বাসসকে বলেন, দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে বাগেরহাট জেলায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে পূজা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা ও মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন পূজা উপলক্ষে এলাকায় অবস্থান করছেন। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।