বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২৬
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৫

বাকৃবিতে বিএফআরআই-এর গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন মৎস্য সচিবের

বাকৃবি ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ) চলমান বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব। ছবি : বাসস

বাকৃবি (ময়মনসিংহ), ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) চলমান বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। 

বিএফআরআই-এর গবেষণা মাঠে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষ পদ্ধতি উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা প্রকল্প চলছে।

রোববার সকাল ৭টায় 'বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৪-২৫) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২৫-২৬)' শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নিতে বিএফআরআই সদর দপ্তরে যান সচিব আবু তাহের। এরপর বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

বিএফআরআই-তে মেকং নদীর জায়ান্ট পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষ পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্প, মহাশোল মাছের ব্রিড উন্নয়ন ও প্রজনন গবেষণা, দেশীয় মাছের সংরক্ষণ গবেষণা, বটম ক্লিন ইউনিট প্রকল্প, গুড়া চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনা, কৈ মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষ ব্যবস্থাপনা এবং কুঁচিয়া মাছের ব্রিডিং ও চাষাবাদ কৌশলসহ নিয়ে গবেষণা চলছে।

এসব জাতের মাছ চাষীদের কিভাবে লাভবান করতে পারে, সেই বিষয়ে সচিবকে ধারণা দেন বিএফআরআই কর্মকর্তারা।
জানা যায়, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে মেকং নদীর জায়েন্ট পাঙ্গাস মাছ নিয়ে গবেষণা চলছে। বর্তমানে মাছগুলোর ওজন ১২০-১৪০ কেজি। এগুলো সাধারণত ২০০ কেজির উপরে হলে ব্রুডে আসে। জায়েন্ট পাঙ্গাসের ব্রুড করতে পারলে দেশে মৎস্য বিপ্লব ঘটবে বলে জানান গবেষকরা।

উল্লেখ্য, মিঠাপানির সুস্বাদু মহাশোল মাছ ‘স্পোর্ট ফিশ’ হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। বাংলাদেশে দুটি প্রজাতি পাওয়া যায়। এগুলো হল, লাল পাখনার হিমালয়ী মহাশোল ও সোনালী মহাশোল। 

একসময় দেশের বিভিন্ন নদী, খাল-বিল ও লেকে প্রচুর থাকলেও বাসস্থান ধ্বংস, নদীতে বাঁধ নির্মাণ ও অতিরিক্ত আহরণের কারণে এ মাছের সংখ্যা দ্রুত কমে গেছে। 

গবেষকরা আরও জানান, মাছটির ডিম ধারণক্ষমতা অন্যান্য কার্পজাতীয় মাছের তুলনায় কম হওয়ায় বিলুপ্তির ঝুঁকি বেড়ে গেছে।

তবে, প্রজাতি রক্ষায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃত্রিম প্রজনন, নার্সারি ব্যবস্থাপনা ও চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফল হয়েছে বলেও দাবী করেন তারা।