বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯

নড়াইলে প্রতিমায় শেষ তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা

ছবি : বাসস

সুলতান মাহমুদ

নড়াইল, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর আগে প্রতিমায় শেষ তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। রং তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রতিমা। দিন-রাত পালা করে চলছে এই কাজ। দম ফেলার ফুসরত নেই শিল্পীদের। বেশির ভাগ পূজামন্ডপের সাজসজ্জার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

আগামি রোববার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী এবং ২ অক্টোবর দশমী পূজা শেষে রাতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। 

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এডভোকেট পংকজ বিহারী ঘোষ অন্ন জানান, চলতি বছর জেলার তিন উপজেলায় মোট ৫২৪টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নড়াইল পৌরসভায় ৩৮টিসহ সদর উপজেলায় মোট ২৩৯টি মন্ডপে, লোহাগড়া উপজেলায় ১৪৪টি মন্ডপে ও কালিয়া উপজেলায় ১৪১টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। 

শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রতিটি মন্দিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন।গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মন্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদেও মধ্যে কোনও শঙ্কা নেই। দুর্গাপূজা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেয়। 

নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, পূজামন্ডপ গুলোতে পূজার আগে ও চলাকালে এবং পরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি মন্ডপে নারী-পুরুষ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সেনাসদস্য, র‌্যাব, পুলিশ ভ্রাম্যমাণভাবে দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর থাকবে। 

নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ বিঘ্ন সৃষ্টি কিংবা অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।