বাসস
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:১৭

ময়মনসিংহে জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব সম্পন্ন

ময়মনসিংহ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ১১তম জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) ও দৈনিক সমকালের যৌথ উদ্যোগে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিতর্ক মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ আয়োজন শুরু হয়।

বিতর্কের ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয় ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের শিক্ষার্থী অরিজিত চৌধুরী মনন।

এর আগে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়।

এ চারটি ছাড়া বিতর্কে অংশ নেয় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হালিমুন্নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও জোবেদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

দৈনিক সমকালের ময়মনসিংহ প্রতিবেদক তানভীর হোসাইনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো. সফিউদ্দিন শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এডভান্সড রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ‘বিজ্ঞান আমাদের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। বিতর্ক সেই বিজ্ঞানকে প্রশ্ন করতে, বিশ্লেষণ করতে ও আত্মস্থ করতে শেখায়। আমি আশা করি, অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতেও যুক্তির আলোকে বিজ্ঞানচর্চা করবে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’

ফাইনাল রাউন্ড পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব (আইন) মো. মশিউল আলম।

পুরস্কার বিতরণকালে তিনি বলেন, ‘বিতর্কের মূল লক্ষ্য জয় বা পরাজয় নয়, বরং গভীর জ্ঞান অর্জন ও তা উপস্থাপনের দক্ষতা তৈরি করা। আজকের প্রতিযোগিতায় উভয় দলই যুক্তি ও তথ্যের চমৎকার উপস্থাপন করেছে।’

ফাইনাল রাউন্ডে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যাপক স্বপন কুমার দাস। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ জুনায়েদ তন্ময়, তানজিল আহমেদ তালুকদার, আতিকুর রহমান সেতু, রুমন হাসান ও ডা. জান্নাতুন নাঈম চঞ্চল।