বাসস
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০১
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০৩

রাবাতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন

মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে।

মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: নুরুল আনোয়ার। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবু নঈম এবং ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপ-পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।

এছাড়াও তিনি সার্বিক পাসপোর্ট সেবার মান উন্নয়ন এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরির লক্ষ্যে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কেও জানান।

পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের কাছে ই-পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানান তারা।

রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার দিক নির্দেশনায় প্রবাসীদের কাছে ই-পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দিতে পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদপ্তরের সক্রিয় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর সেবা প্রদানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। সীমিত জনবল থাকা সত্ত্বেও ঘানা, গিনি, সেনেগাল ও সিয়েরা লিয়নের জন্যও রাবাতের বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দূতাবাস শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নেই নয়, বরং প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং কনস্যুলার কার্যক্রম কার্যকরভাবে সম্পাদন করার ক্ষেত্রেও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সাদিয়া ফয়জুননেসা উল্লেখ করেন, মরক্কোর বিভিন্ন শহরের ভৌগোলিক দূরত্ব, নথিবিহীন প্রবাসীদের জটিলতা এবং বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দূতাবাস কনস্যুলার সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

৬৪তম মিশন হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধনের মাধ্যমে মরক্কো ও দূতাবাসের আওতাভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আরও উন্নত, দ্রুত ও নিরাপদ কনস্যুলার সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।