শিরোনাম
রোস্তম আলী মন্ডল
দিনাজপুর, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস) : জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৩৫ দিনে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের চালের বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোয়েশনের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী আজ বাসসকে বলেন, গত ৩৫ দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। একারণে দেশে চালের দাম কমেছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন থেকে হিলি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম প্রকারভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা কেজিতে কমেছে। দেশের বিভিন্ন জেলার চালের মোকামগুলোতেও চালের বাজার দর কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক চাল ব্যবসায়ী মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির অনুমতি প্রদান করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করছেন।
প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার মূল্যে দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত চালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল। এই চাল একটু চিকন ধরনের হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বিবেচনায় আমদানিকারকেরা শম্পা কাটারি চাল এবারে বেশি পরিমাণ আমদানি করেছে।
হিলির খুচরা ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র রায় বাসসকে বলেন, ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫১ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ টাকা কেজি হিসেবে। আগামীতে চালের দাম আরো কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চাল আমদানিকারক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২ শতাংশ শুল্কে আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। ৫২০ থেকে ৫৪০ ডলার মূল্য দিয়ে এবারে চাল আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে চালের মূল্যের ওপরও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২ হাজার ৪২১টি ট্রাকে এক লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। চাল আমদানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।