বাসস
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১৮

কুয়ালালামপুরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আলোচনা

রোববার কুয়ালালামপুরের জি টাওয়ারে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিয়ে কুয়ালালামপুরে আলোচনা সভা ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার কুয়ালালামপুরের জি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এক বার্তায় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের  মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া তুলে ধরে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ইসির পরিকল্পনা হলো তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর ডাকযোগে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা চালু করা। প্রবাসীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর তাদের নিবন্ধিত ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পেপার ও ফেরত খাম পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ভোটাররা ব্যালট পেপারে ভোট প্রদান করে নির্ধারিত খামে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে পাঠাবেন। একই সঙ্গে অনলাইনে তাদের ব্যালটের অবস্থান ট্র্যাক করা যাবে।

আনোয়ারুল ইসলাম এ প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা এবং নির্বাচনী অংশগ্রহণ বিস্তৃত করা।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহানারা মনিকা এ কর্মসূচি গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রবাসীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকমিশন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনার স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ করেন এবং প্রবাসী ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কমিউনিটির প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।