বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১৩

‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ ব্যবহার বন্ধে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং কমিটি থাকবে  

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ (একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক) ব্যবহার বন্ধ করতে 
প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ফোকাল পার্সন নিয়োগ ও মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।

আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ মুক্ত করতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে চেকিং, সচেতনতা ও মনিটরিং কার্যক্রম চালু হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ এবং একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটিগুলো সচিবালয় প্লাস্টিকমুক্তকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। শুধু সচিবালয় নয়, সচিবালয়ের বাইরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোও এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। মাসিক সমন্বয় সভার এজেন্ডায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা- ১ হতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহে চিঠি পাঠানো হয়েছে।  এছাড়াও, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যাচাই করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিবেশবান্ধব সচিবালয় গড়ার লক্ষ্যে এর সব প্রবেশপথে চিহ্নিত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর চেকিং চালু হবে। দর্শনার্থীদের পাঠানো ওটিপি বার্তায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক না আনার নির্দেশনা থাকবে।

সচিবালয়ের নিরাপত্তাকর্মীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক ও বিকল্প ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সচিবালয়ের ভবন, প্রবেশদ্বার ও লিফটের সামনে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশের বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও স্টিকার লাগানো হবে। একই দিন থেকে সচিবালয়ের বিপণি বিতান ও ক্যান্টিনগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচ ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর পরিবর্তে পাটজাত ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ও অন্যান্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে।

সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সহজে পচে না এবং মাটি, পানি ও জীববৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করার এই উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। এই পাইলট কর্মসূচি সফল হলে তা দেশের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে। তাই সকলকে এ কর্মসূচিতে সহযোগিতার অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।