শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ‘আন্তঃবাহিনী সাঁতার, ওয়াটারপোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা-২০২৫’ শুরু হয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর নৌবাহিনী সদর দপ্তর সুইমিং কমপ্লেক্সে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বানৌজা হাজী মহসীনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা পাঁচ দিনব্যাপী চলবে। এতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর মোট ১২২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল সৈয়দ সাঈদুর রহমান। তিনি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথি, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়, সামরিক ও অসামরিক সদস্য এবং ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় ১০০ মিটার চিৎ সাঁতার এবং ৪০০ মিটার দলগত মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতা। উভয় ইভেন্টেই বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রথম স্থান অর্জন করে এবং সেনাবাহিনী দ্বিতীয় হয়।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ক্রীড়া দক্ষতা বৃদ্ধি, দলগত চেতনা উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতার জন্য তাদের প্রস্তুত করা।
প্রতিযোগিতার সময়সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল, ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ও ২০০ মিটার দলগত সাঁতার। তৃতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে ওয়াটারপোলো ম্যাচের গ্রুপপর্ব; যেখানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর মধ্যে লীগভিত্তিক খেলা অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ দিনে ডাইভিং প্রতিযোগিতা এবং ওয়াটারপোলো ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ও শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৮০০ মিটার দলগত সাঁতার ও মিশ্র রিলে ইভেন্ট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন কেবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, বরং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, নেতৃত্বের মানসিকতা ও শৃঙ্খলা উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।’
আয়োজকরা আরো জানান, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়ার সঙ্গে পরিচিত করানো এবং শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনী সদর দপ্তর সুইমিং কমপ্লেক্সে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হবে। বিজয়ী খেলোয়াড় ও দলগুলোকে ট্রফি, পদক ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি।